PREMIER UNIVERSITY

Department of Economics

তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘বাবর আলীর এভারেস্ট জয়ের গল্প’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন

সম্প্রতি চট্টগ্রামের সন্তান বাবর আলী পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট এবং পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতর শৃঙ্গ লোৎসে পর্বত জয় করে ফিরেছেন। মাউন্ট এভারেস্ট হিমালয়ের মহালঙ্গুর হিমাল পর্বতমালায় অবস্থিত। এই শৃঙ্গটি নেপালে সগরমাথা এবং তিব্বতে চোমোলাংমা নামে পরিচিত, সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে যার উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার। বাবর আলী বাংলাদেশের হয়ে ষষ্ঠবারের মতো মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি হিসেবে তিনি লোৎসে (৮৫১৬ মিটার) জয় করেছেন।
০৩ জুন ২০২৪, সোমবার, বেলা ৩.০০টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘বাবর আলীর এভারেস্ট জয়ের গল্প’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক। বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডা. বাবর আলী তাঁর মাউন্ট এভারেস্ট ও লোৎসে জয়ের গল্প শোনান। তিনি ২০১৪ সালে প্রথম হিমালয়ে যান উল্লেখ করে বলেন, এভারেস্টের উচ্চতা বেশি, কিন্তু লোৎসে আরোহণ তুলনামূলক কঠিন। এই দুই পর্বতের শিখর থেকে দেখা নিচের পৃথিবীর দৃশ্য এ জীবনে বিস্মৃত হওয়া সম্ভব নয়। আমি এভারেস্ট শীর্ষে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট অবস্থান করি। এটা ছিল অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। চূড়া থেকে নেমে আসার সময় এক আহত পর্বতারোহীর জন্য মানবজটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় আমাকে। সেখানে অর্থাৎ সেই উন্মুক্ত এলাকায় শুরু হয় তুষারঝড়ও। তবে বড় কোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি আমাকে হতে হয়নি।
বাবর বলেন, ক্যাম্প-৪ এবং এর ওপরের এলাকায় পর্বতারোহীরা ব্যবহার করেছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। আমি চেষ্টা করেছি অভিযানে যতটা সম্ভব কম কৃত্রিম অক্সিজেন গ্রহণ করতে। এভারেস্ট ও লোৎসে পর্বতে আমার সাথি ছিলেন নেপালের গাইড বাইরে তামাং। বাবর জানান, এভারেস্টে অনেক মরদেহ দেখলেও আমি মনোবল হারাইনি। এর মধ্যে অনেক ইকুইপমেন্ট নতুন, তারা মারা গেছেন বেশিদিন হয়নি। এভারেস্ট সামিট করার ক্ষেত্রে আবহাওয়া বড় ফ্যাক্টর। বাংলাদেশের একজন আবহাওয়াবিদ আমাকে দারুণ সহযোগিতা করেছেন। তিনি ‘শিখর থেকে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে আমি নেমে আসি’ উল্লেখ করে বলেন, বেসক্যাম্প থেকে কাঠমান্ডু ফিরে আসি মাত্র তিন দিনে। বাবর তার এই সফলতার পেছনে প্রধান কৃতিত্ব তার দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের বলে জানান। বাবর আলী পর্বতারোহণকে সকল খেলার রাজা উল্লেখ করে তার এভারেস্ট ও লোৎসে পর্বতারোহণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, অনেক নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কোনো এভারেস্ট বিজয়ীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হলো। আমি গর্ব অনুভব করছি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে আমি তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এভারেস্ট জয়ের ইতিহাসে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের নামও খোদিত করলেন। প্রধান অতিথি ম্যালোরি, স্যার এডমন্ড হিলারী ও  তেনজিং নোরগে প্রমুখ এভারেস্ট বিজয়ীর কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রকৃতি রক্ষার জন্য জলবায়ু সচেতনতার কথা বর্ণনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ বলেন, অজানাকে জানার আগ্রহ মানুষের চিরকালের। এই আগ্রহকে সবাই বাস্তবে রূপদান করতে পারেন না। যারা পারেন, তারা ব্যতিক্রমি মানুষ, বড় মানুষ। এরকমই এক ব্যক্তি হলেন চট্টগ্রামের সন্তান ডা. বাবর আলী। তিনি অনেক বাধা অতিক্রম করে এভারেস্ট ও লোৎসে জয় করেছেন। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বাবরের এই দুঃসাহসিক অভিযান থেকে বড় কিছু করার শিক্ষা নিতে পারে। তাকে রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক বাবর আলীকে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে এসে তাঁর এভারেস্ট ও লোৎসে জয়ের গল্প শোনানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

Related Events

Freshmen Orientation 2025

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে হিম উৎসব ও কাওয়ালী সন্ধ্যা

Read More

Monsoon Celebration and Bangla Food Festival 2024

Read More

তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘বাবর আলীর এভারেস্ট জয়ের গল্প’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস ২০২৪ উদযাপন

Read More
Copyright © 2024 Premier University IT. All rights reserved.